দীর্ঘ দিন ব্যপি আল-আমিন নলেজ সার্কেল খুব সাফল্যের সাথে শিশুদের দেখভাল করে আসছে । এলাকার শিশুদের নিয়েই আমাদের আল আমীন নলেজ সার্কেলের পথ চলা । বস্তুতপক্ষে আমাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারি হয়েছে । অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ এই স্কুল দীর্ঘ দিন ধরে গুণ মানের দিক থেকে সেরা পঠন পাঠন দিয়ে চলেছে । বর্তমানে প্রায় ৫০০ পরিবার আমাদের সাথে জুড়ে আছে । ৫০০ শিশুর আগামী তৈরি হচ্ছে আল আমীনের ছত্র ছায়ায় । যারা আগামী দিনের মহীরুহ । ভারতবর্ষের স্বপ্নের ভবিষ্যৎ রচনার ভার যাদের উপর ন্যাস্ত । আল- আমীন নলেজ সার্কেল পরিপূর্ণ ভাবে তার দায়িত্ব পালন করে চলেছে । নিয়মানুবর্তিতা ,অনুশাসন এবং দায়িত্ববোধ হল আল- আমীন নলেজ সার্কেলের একান্ত মূলধন । ইসলামিক অনুশাসন ও ভাবধারায় লালিত এই বিদ্যালয় পরিবারের মত । আমাদের সাথে সংযুক্ত বর্তমান ও আতীত ছাত্র ছাত্রী যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য আল- আমীন মিশন , রহমত –এ আলম মিশন, সোদপুর হাই স্কুল্ সহ বিভিন্ন হাই স্কুলে বাঁ মিশনে পাঠরত তাদের যুগল বন্দিতে এলাকায় প্রশংসিত প্রতিষ্ঠান মূলক পরিবার হল আল আমীন নলেজ সার্কেল ।
“সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে ।‘’
এর বাইরে এলাকা ব্যাপী সকল পড়া শোনা প্রেমী সমাজসেবী , শিক্ষক ,ও ক্লাব সংগঠন গুলোর সহযোগিতা আমরা পেয়ে থাকি । এলাকার শিক্ষা দপ্তর ,এবং সপ্তগ্রাম হাই মাদ্রাসার কাছে আমরা ভীষণ ভাবে কৃতজ্ঞ । শিক্ষার মতোই চিকিৎসা ও আমাদের প্রধান লক্ষ্য তার কাজ ও চলছে ধীরে ধীরে । আর্থিক ভাবে পিছিয়ে বা নিরুপায় কিছু ছেলে মেয়ের দায়িত্বও স্কুল পালন করে চলেছে ।
আমরা আমাদের পাঠ্য সূচি ও পাঠ্য বিষয় নিয়ে আমরা গর্বিত । এখানে শিশু শ্রেণিতে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় ।এর সাথেই হাতের লেখা সুন্দর – নির্ভুল করার উপর নজর রাখা হয় । এর পর আর ও দুটি স্তরের [ লোয়ার , আপার ] পড়ানোর পর শুরু হয় প্রাথমিক স্তরের পড়া -শোনা । আমাদের শিশুরা প্রাথমিক স্তরে পৌঁছানোর আগেই নিজেরা রিডিং পড়তে শিখে যায় । ফলে অন্যদের থেকে বহুগুণে আগিয়ে থাকে ।
প্রাথমিক স্তরে সংযুক্ত হয় আরবি ভাষা এবং ইসলামিক জীবন ধারার প্রয়োজনীয় শিক্ষা- শৈলী । আমরা মৌলবি ,মাওলানা তৈরি হয়তো করতে পারব না কিন্তু প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় দোয়া,সুরা , নামাজের বিষয় গুলি সুন্দর ভাবে শিখাতে পেরে আমরা খুশি । ইসলামের শিক্ষা তাদের মানবিক করে তুলবে । এই স্তরে খুবই সহজ ভাবে বাংলা ও ইংরেজির জন্য আলাদা দুটি পেপার – পাঠ্য ও ব্যাকরণ পড়ানো হয় । আমাদের মনে হয়েছে শিশুরা তাদের ভাষা কে ভালভাবে আয়ত্ত করতে নেয় , তার জন্য পড়া-শোনা ৫০% সহজ হয়ে যায় । বিষয় সম্পর্কে বুঝতে এবং ধারণা গুলিকে পরিপূর্ণ ভাবে আত্তীকরণ করাতে পারে খুব সহজেই এবং ম্যাচুরিটি বৃদ্ধি পায়, স্মৃতি শক্তি ও ধারণ ক্ষমতা বাড়ে ।আমরা গণিত বিষয়েও এমন দুটি পৃথক পেপার করার বিষয়ে গবেষণা করে চলেছি ।
আমাদেরস্কুলের মূল্যায়ন পদ্ধতি অন্যদের থেকে একটু ভিন্ন প্রকারের । শিশুর সাথে সাথে শিশুর অভিভাবকের মূল্যায়ন করাও জরুরি বলে আমাদের মনে হয় । কারণ অভিভাবক ছাড়া শিশুদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হতেই পারে না । বিগত দিনগুলির অভিজ্ঞতার নিরিখে আমাদের কাছে এটা অতি পরিষ্কার যে সমস্ত শিশুরা প্রায় সমান মেধা নিয়ে জন্মায় কিন্তু পরিবেশ , অভিভাবক ও স্কুলের নিয়ম কানুন ও স্কুলের সিলেবাস ,পঠন – পাঠন শৈলী শিশুর মেধা তৈরির জন্য দায়ী । সুতারাং অভিভাবকের ও মূল্যায়ন করা দরকার এবং আল আমীন নলেজ সার্কেল দীর্ঘদিন ধরে তা করে চলেছে ।
২০১৯ সালের পূর্বে আমাদের মূল্যায়ন ছিল মাসিক পদ্ধতিতে । । ক্লাসে শিশুর রেসপন্স করা ,তার চারিত্রিক বিষয় গুলিকে মার্কসের আওতায় আনা হবে । কেবল একটি পরীক্ষাতে প্রথম দ্বিতীয় হয়ে উত্তীর্ণ হওয়া নয় , সারা বছরের মেহনতকে আমরা মান্যতা দেব । ৩৬০ ডিগ্রী মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে । এবং সেই অনুযায়ী প্রগতি পত্র তৈরি হবে ।
কেবল মাত্র মার্কস ভিত্তিক চিন্তা ধারা পরিবর্তন হওয়া জরুরি । আমরা চাই শিশুরা শিখুক, সামর্থ্য অর্জন করুক । আমাদের আশুলক্ষ্য পরীক্ষার নাম্বার নয় , লক্ষ্য শিশুর জ্ঞানকে বাড়ানো ,তাদেরকে উচ্চতর পর্যায়ের জন্য তৈরি করা । যোগ্য রূপে গড়ে তোলা । দ্বীন ও দুনিয়াকে সাথে নিয়ে জীবনে আগিয়ে চলা । আমরা অতি ক্ষুদ্র হয়েও এই মহা কর্মের ভার নিয়েছি । দেশ ও সমাজ কে সাথে নিয়ে নবী পাকের নামের অসিলায় আপনাদের দোয়ায় আমরা যেন আমাদের কাজের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করাতে পারি ; আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন আগামীতে দেশ দশের ও জাতির মান উন্নয়ন করতে তার দোয়া করবেন ।