Founder’s Speech

‘’শ্রাবণের ধারার মত পড়ুক ঝরে ,পড়ুক ঝরে / তোমারি সুরটি আমার মুখের ‘পরে বুকের ‘পরে/ যে শাখায় ফুল ফোটেনা ফল ধরে না একেবারে /—-/তোমার ওই বাদল বায়ে দিক জাগায়ে সেই শাখারে’’-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এখন প্ত্র-পুষ্পে-পল্লবে সুসজ্জিত হয়ে সগর্বে মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়ে আপনাদের অন্তর আত্মার আত্মীয় আল-আমীন নলেজ সার্কেল মিশন- আটঘরা আর দোপেড়িয়ার পবিত্র ভূমিতে । আমার স্মৃতি পটে ভেসে ওঠে ২০০৯ সালের আমার চাকুরি জীবনের ব্যস্ততার কথা। সারা বাংলা জুড়ে আমার আনাগোনা ।পাথর চাপুড়ির সেই রাত ভোলার নয় । মাগরিবের নামাজ শেষে দাতা বাবার মাজার থেকে ফেরার পথে একটুকরো আলাপ চারিতা যার ফল সুদুর প্রসারী ।  মনের বাসনা পূরণা পাবার আশা জাগল মনে প্রাণে । একমাস পর নাজমুল ও শরিফুল নামের দুই ভাই এর সাথে গাট ছড়া বাধা । আর ও বেশ কিছু মাস অতি বাহিত হল । চলতে থাকল প্রস্তুতি । কখন ও ভ্যানে চেপে মাইক নিয়ে হেকে বেড়ান ।কখন ও বাড়ি বাড়ি ঘোরা । তার পর ২০১০ এর ২রা ফেব্রুয়ারি শুরু অন্য পথ চলা । অবেগ ,সৃষ্টি সুখের উল্লাস । নতুন ভাবনারা ডানা মেলে দিল । সারা ক্ষণ আমাকে ঘিরে নিত্য নতুন ভাবনা । ছড়িয়ে পড়ল নাম ।

আজ বড় সহজ মনে হয় । এখানে আনকোরা যারা তাঁরা ভাবতেই পারেন । কোন সোনার কাঠি রূপার কাঠির ছোয়াচে  বোধ সব সাফলয এসে ধরা দিয়েছে  । কিন্তু রোম একদিনে তৈরি হয়না। এর পিছনে রয়ে গেছে অজস্র মানুষের ঝরান ঘামের আঘ্রাণ ।

আমার মনের প্রত্যছিল প্রগাঢ ।তাই কেরিয়ার,চাকরি বাধা ছিল না । জানা ছিল হিসাবের হেয়ালি । নাজমুলদা দিল প্রাথমিক প্রণালী । আটঘরা দিল স্থান ।বাকিটা যাদের অবদান ,তাদের স্থান আমার বুকের মাঝে ,হৃদয় মাঝে ।

প্রতিষ্ঠান সেদিন পূর্ণাঙ্গতা পায় নি । দিন গুলি তখন প্রতিক্ষার,উদ্বেগের ।সেই ‘নাজুক’সময় কালে পরিপূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন যারা তারা বরাবরের জন্যই নমস্য ।

মহ সেকেন্দার [ MBA-HR&MARKETING]

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক

ইকরা ন্যাশনাল ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট  ও

আল আমীন নলেজ সার্কেল মিশন

[আটঘরা,মাধবপুর।দোপেড়িয়া,খড়দহ।শিমুলিয়া ,গাইঘাটা]

[মহবতপুর,কালিয়াচক, মালদা]